উপন্যাস

কিশোর উপন্যাস।। রহস্যময় লোকটা।। সারওয়ার-উল- ইসলাম।। পর্ব পাঁচ

৫.

খোকাদের বাড়ির উদ্দেশে বাসা থেকে বের হই। আমাদের বাসা থেকে ত্রিশ গজ পথ হাঁটার পরই জয়াপাদের বাসা। জয়াপা নীনাপার ছোটবেলার বন্ধু। একসঙ্গে পড়াশুনা করে। তাদের বাসার সামনে দিয়ে যাবার সময় বারান্দা থেকে আমাকে জয়াপা ডাক দিল। ডাক শুনে আমি দাঁড়াই। আমাকে হাত ইশারা করে কাছে যেতে বলল। যেতে ইচ্ছে করছে না তবুও যেতে হল, বড় বোনের বন্ধু তো। জয়াপা বাসায় সব সময় জিন্স প্যান্ট পরে থাকে। সঙ্গে টি শার্ট। এখনও তাই পরেছে। দেখতে ছেলে ছেলে লাগে।
আমি তার দিকে না তাকিয়েই বললাম, কি বলবে বল?
কোথায় যাচ্ছিস? জয়াপা বলল।
খোকাদের বাড়ি।
শুনলাম নীনাকে কালরাতে ভ‚তে পেয়েছিল?
হ্যাঁ।
এতো মেপে মেপে কথা বলছিস কেন?
খোকার বাসায় গুরুত্বপূর্ণ মিটিং আছে।
তোদের আবার কিসের মিটিং?
আছে তুমি বুঝবে না।
ওরে বাবা খুব বড়দের মতো কথা বলতে শিখেছিস।
আর কিছু বলবে?
আজ আমার জন্মদিন।
ও তাই নাকি– বলেই তাদের বারান্দায় টবে লাগানো গোলাপ গাছ থেকে একটা গোলাপ ছিঁড়ে তার হাতে দিয়ে বললাম, হ্যাপি বার্থডে টু ইউ।
থ্যাংকিউ– বলার পর বলল, শোন কি বল?
তোর ভাইয়াকে বলিস আজ আমার জন্মদিন।
আচ্ছা– বলেই আমি হাঁটতে থাকি। আমি জানি জয়াপার মূল কথা শেষ। তাই দাঁড়িয়ে থেকে সময় নষ্ট করার মতো সময় হাতে নেই।
খোকাদের বাসার সামনে আসার পর মনে হল কয়টা বাজে তা আগে জানা প্রয়োজন। যদি এগারোটা না বাজে তা হলে খোকাদের বাসায় ঢোকা যাবে না। কারণ খোকার বড় চাচা, দারুণ রাগি মানুষ। ঢাকার একটা কলেজে ইংরেজি পড়ান। যদি এখনও বাসায় তিনি থাকেন আর আমি গিয়ে খোকাকে খোঁজ করি তবে আমাকে এমন একটা ধমক লাগাবেন– যেটা শুনে আমি সামনে কি আছে তা না দেখেই দৌড় লাগাব। তার কন্ঠস্বর এপাড়ার আমাদের মতো ছেলেরা ভালো করেই জানে। তাকে সামনে আসতে দেখলে সবাই পঞ্চাশ হাত দূর দিয়ে যায়। নইলে লুকিয়ে থাকে সুবিধা মতো জায়গায়।
একজন ঘড়িঅলা ভদ্রলোককে দেখে কটা বাজে ভাই, জিজ্ঞেস করতেই বলল, ঘড়ি নষ্ট।
মেজাজটা খিচড়ে গেল। নষ্ট ঘড়ি হাতে পরে থাকার কি যুক্তি বুঝলাম না। নাকি আমার সঙ্গে মজা করল, কে জানে।
আরেকজন ঘড়িঅলা আসছে এদিকে। কাছে আসার পর জানতে চাইলাম কটা বাজে?
ভদ্রলোক বললেন, কটা প্রয়োজন?
এগারোটা… অস্ফুটভাবে জবাব দিলাম।
এখনো দশ মিনিট বাকি। বলেই চলে গেলেন।
মানুষ কত রকমের যে হয়। ভাবতে থাকি। ভদ্রলোক সোজা বললেই পারতেন এগারোটা বাজতে দশ মিনিট বাকি। তা না কটা প্রয়োজন সেটা জানতে চাইলেন। একটা ঘড়ি পরে মানুষের কি পরিমাণ বাহাদুরি। মনে মনে ঠিক করি এবার যদি ভালো রেজাল্ট করে নাইনে উঠতে পারি তবে বাবার কাছে একটা ঘড়ির আবদার করবো। তখন আমিও দেখাবো বাহাদুরি কাকে বলে!
দশ মিনিট সময় কতটা লম্বা তা আমাকে এখন বুঝতে হবে। খোকাদের বাসার কাছেই একটা বইয়ের দোকান আছে। সেই দোকানের সামনে দশ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে খোকার চাচা যতক্ষণ পর্যন্ত বাসা থেকে না বেরোয়। অপুদের বাসায় যাব কি না ভাবতে ভাবতে বইয়ের দোকানে এসে দেখি অপু আর পল্টু দুজনে বই দেখছে। ওরাও আমার মতো এগারোটার আগে আসায় এখানে দাঁড়িয়ে সময় পার করছে।
কিরে খোকার চাচা বের হয়েছে? পল্টু বলল।
কি করে বলি এগারোটাতো বাজেনি।
নতুন একটা বই এসেছে– লংকা দ্বীপের টংকা রাজা। অপু বলল।
কার লেখা? বললাম।
ভবেশ্বর চট্টোপাধ্যায়।
ওনার তো আরো বই আছে– বললাম।
হ্যাঁ আছে, কম লেখেন, ভালো লেখেন।
নিবি নাকি? বললাম।
হ্যাঁ ফেরার পথে নিয়ে যাব। অপু বলল।
আমাদের ভেতর অপু আবার একটু সাহিত্য প্রিয়। প্রচুর বইটই পড়ে। ছোটদের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ওর লেখাটেখা ছাপা হয়েছে। ক্লাসে ক্ষুদে সাহিত্যিক হিসেবে ওর একটা আলাদা পরিচয় আছে।
চল খোকাদের বাসায় যাওয়া যাক-পল্টু বলল।
যাবি? বললাম।
গিয়ে দেখি কি অবস্থা। পল্টু বলল।
যদি ওর চাচা না গিয়ে থাকে। অপু বলল।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই বেরিয়ে গেছেন–পল্টু বলল।
চল তা হলে… বললাম।
আমরা তিনজন খোকাদের বাসায় গেটের সামনে গিয়ে দাঁড়াই। কলিংবেল কে টিপবে সেটা নিয়ে কিছুক্ষণ সময় পার করে আমিই একসময় কলিংবেল টিপলাম। খোকাই এসে গেট খুলে দিল।
তোর চাচা চলে গেছে? অপু বলল।
চাচা আজ দেশের বাড়ি গেছে ভোরবেলা।
বা’হাতের তালুতে ডান হাত দিয়ে আলতো ঘুষি মেরে বললাম, আমরা কতক্ষণ ধরে ওই বইয়ের দোকানে অপেক্ষা করছি কখন তোর চাচা বেরুবে– সেজন্য।
আয় ভেতরে আয়– বলে খোকা আমাদেরকে ওর ঘরে নিয়ে গেল।
আমরা তিনজন খোকার ঘরে বেশ আয়েশ করে বসলাম।
খোকা বলল, মা বিবিখানা পিঠা বানিয়েছে কালরাতে, খাবি?
পল্টু বলল খাবো মানে? জলদি নিয়ে আয়।
আমাদের জন্য পিঠা আনতে খোকা ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
পল্টু বলল, ইনজাম আর তৌফিকের ব্যাপারটা কেমন যেন আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে পড়ছে।
কে বলল তোকে-অপু বলল।
দেখ না তুই, এখন পাড়ার মানুষ খুব একটা আলোচনা করে না ব্যাপারাটা নিয়ে।
তোকে বলেছে? তৌফিক আর ইনজামদের বাসায় আমাদের এলাকার চেয়ারম্যান সাহেব নিয়মিত যাতায়াত করছেন। বাসার সবাইকে সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
আচ্ছা আমি একটা জিনিস বুঝি না চেয়ারম্যান সাহেব কেন এত যাতায়াত করছেন ওদের বাসায়। বললাম।
অপু বলল, আমাদের এখানকার যিনি এম.পি. তার নির্বাচনের সময় ইনজাম আর তৌফিক তাকে অনেক সাহায্য করেছে। সেই এম.পি সাহেবের নির্দেশেই চেয়ারম্যান সাহেব ওদের বাসায় যাতায়াত করছে। এবার বুঝলি?
আমি আর পল্টু চুপচাপ শুনলাম অপুর কথা। ইনজাম আর তৌফিককে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে নাকি প্রায় প্রতিদিন মিছিল হচ্ছে। দেশের দু’টি প্রধান ছাত্র সংগঠনই তৌফিক-ইনজামকে নিজেদের দলের কর্মী বলে দাবি করে তাদের উদ্ধার করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন করছে। দুটি সংগঠনই একে অন্যকে দোষারপ করে নানারকম পোস্টার আর লিফলেট বিলি করছে। রাজধানীর দেয়ালে দেয়ালে তৌফিক-ইনজামের মুক্তি দাও– এরকম লেখা দেখা যায় একথাগুলো আমাকে ভাইয়া বলেছিল।
খোকা প্লেটে করে বিবিখানা পিঠা নিয়ে এসে আমাদের সামনে রাখার পর আমরা যে যার মতো নিয়ে খেতে থাকি। খুব সুস্বাদু পিঠা।
খেতে খেতে অপু বলল, আমার কেন জানি দু-একদিন যাবৎ সন্দেহ হচ্ছে একটা জিনিস…
খোকা বলল, কি সন্দেহ হচ্ছে?
পল্টু আর আমিও সঙ্গে সঙ্গে বললাম, অপু কি রে?
ইনজাম-তৌফিক উধাও হবার পেছনে বটগাছের অস্থায়ী বাসিন্দা পাগলটার কোনো রকম ভ‚মিকা থাকতে পারে।
আমাদের তিনজনের চোখ যেন বড় হয়ে বের হয়ে আসতে চাইছে অপুর কথা শুনে। বলে কি!
কি রকম ভূমিকা থাকতে পারে? খোকা বলল।
আমার সন্দেহ ভুলও হতে পারে– অপু বলল।
কথাটা আমিও একদিন ভাইয়াকে বলেছিলাম? বললাম।
আসলে রহস্য উপন্যাসে এরকম পাগল চরিত্রগুলোই দেখা যায় শেষ পর্যন্ত মূল নায়ক হিসেবে বেরিয়ে আসে। অপু বলল। বইটই পড়তে পড়তে আসলে তোর মাথা খারাপ হয়ে গেছে। সবকিছুকে বইয়ের কাহিনি মনে করিস। পল্টু বলল।
তবে একটা জিনিস আমি ইদানীং খেয়াল করছি– অপু বলল।
আমরা তিনজন সমস্বরে বললাম, কি সেটা?
পাগলটা বটগাছের নিচে কোন কোন সময় ঘুমায়?
কেন? খোকা বলল।
প্রয়োজন আছে।
কি প্রয়োজন? বললাম ।
তুই কি জানিস লোকটা কবে থেকে আমাদের পাড়ায় আছে? অপু বলল।
না, তা জানি না তবে অনেক দিন।
খুব বেশি দিন না দুই থেকে আড়াই বছর।
কি জানি হবে হয়তো– তাতে কি হয়েছে? বললাম। তার আগে সে কোথায় ছিল? অপু উকিলের মতো জেরা শুরু করল।
অপু তুই বইটই পড়া কিছুদিনের জন্য বাদ দেতো-পল্টু বলল।
পল্টু সব সময় মজা করিস না– অপু কথাটা যেন বড়দের মতো বলল।
আমি অবাক চোখে অপুর দিকে তাকালাম। অপু কি বড় হয়ে সাহিত্যিক না হয়ে গোয়েন্দা সংস্থায় চাকরি করবে নাকি– ভাবতে থাকি। একটা কাজ না হয় আমরা চারজন করলামই কষ্ট করে। দেখি না কি হয় শেষ পর্যন্ত। কাজটা কিছুই না, একটু নজর রাখা। অপু খোকার ঘরে পায়চারি করতে করতে কথাটা বলল।
অপুকে এ মুহূর্তে ডিটেকটিভ ছবির ক্ষুদে নায়কের মতো মনে হচ্ছে। কথা বলার ধরন দেখে অন্তত আর যাই হোক এটা বলতেই হবে অপুর বয়স আমাদের চেয়ে দশ বছর বেশি ছাড়া কম হবে না।
পল্টু একটু হেসে বলল, খোকা তোদের বাসায় মোটা রশিটশি হবে?
খোকা বলল কেন?
না, বাধার কাজে লাগবে।
অপু তীক্ষ্ন চোখে পল্টুর দিকে তাকাল। বোঝা গেল পল্টুর কথায় অপু খুব মাইন্ড করেছে। বলেই ফেলল, পল্টু তুই যদি আমাদের সঙ্গে থাকতে না চাস চলে যেতে পারিস।
পল্টু বলল, কেন দোস্ত কি হয়েছে?
তুই রশি দিয়ে কাকে বাধবি?
কেন পাগলকে।
কোন পাগলকে?
বটগাছের অস্থায়ী বাসিন্দা।
ও তাই… অস্ফুট উত্তর অপুর।
পল্টু তুই নিজেকে বরাবরই চালাক ভাবিস, এটা কি ঠিক? অপু এবার খানিকটা রেগে বলল।
দোস্ত তুই মাইন্ড করিস না– যা এখন থেকে আমি সিরিয়াস, বল কি করতে হবে।
তার আগে বল তোদের আগ্রহ আছে কিনা। যদি না থাকে তবে কাউকেই জোর করবো না। অপু বলল।
অপুর কথায় শরীরের ভেতর কেমন যেন রোমাঞ্চ খেলে গেল। খোকার ভেতরেও বোধহয় তেমন কিছু ঘটে গেল। চেহারায় তেমন একটা ছাপ সুস্পষ্ট। পল্টু শুধু অপুর চোখের দিকে কেমন বোকা বোকা চোখে তাকিয়ে আছে। খোকা বলল, প্রথমে অপু তুই কি করতে চাস– একটু খুলে বললে বুঝতে পারতাম।
আসলে ব্যাপারটা তেমন কিছুই না। জাস্ট কৌতূহল মেটানো। সফল হবার কোনো রকম সম্ভাবনা নেই মনে করেই আমরা নামব। ঠিক আছে?
তাতো বুঝলাম– কিন্তু ব্যাপারটা কি? বললাম আমি।
আমরা চারজন আজ থেকে ওই পাগলটাকে চোখে চোখে রাখব। যখনই আমাদের সামনে সে পড়বে তার আচরণ খেয়াল করব। তবে কাজটা হবে খুব সচেতনভাবে। সে যাতে মোটেও বুঝতে না পারে যে তাকে আমরা ফলো করছি। কিংবা তার প্রতি আমরা আলাদা নজর দিচ্ছি– ঠিক আছে?
আমার পিঠ বিন্দু বিন্দু ঘামে ভিজে যাচ্ছে, উত্তেজনায়। এরকম একটা কাজের কথা শুনলে কার না রোমাঞ্চ লাগে।
পল্টু বলল, ব্যাপারটা কি আর কেউ জানবে?
না, আর একজনও না। অপু বলল।
কেন? খোকা বলল।
আসলে আমরা যা করব তা আমাদের কেবলই কৌতূহল মেটানো– তাই আমরা যা ভাবছি যদি সত্যিই তা না হয় তা হলে অন্যেরা শুনলে হাসবে। আমাদের নিয়ে হাসাহাসি করবে।
যদি আমরা তেমন কোনো কিছু দেখতে পাই পাগলটার ভেতরে? খোকা বলল।
হ্যাঁ এটা একটা ভালো প্রশ্ন। যদি আমরা তেমন কিছু দেখতে পাই তবে এগিয়ে যাব সাবধানে। যেন সে টের না পায়। অপু বলল
পল্টু আমার কাঁধে হাত দিয়ে বলল, দোস্ত কেমন যেন থ্রিল অনুভব করছি।
থ্রিলিংতো অবশ্যই, একটা জিনিস তো তোরা নিশ্চিত যে ইনজাম আর তৌফিককে কোনো মানুষই উধাও করেছে। অপু বলল।
হ্যাঁ, পল্টু বলল।
ভূতটূতের কথা বলে ব্যাপারটাকে একটু অন্যদিকে মোড় নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে–এই যা। অপু বলল।
কিন্তু যদি কোনো মানুষই ওদের দু’জনকে উধাও করে থাকে তবে কেন ওই বটগাছটার কথা বলবে। পল্টু অপুকে বলল।
আসলে যে বা যারা ওদের উধাও করেছে তারা এই এলাকা সম্পর্কে জানে। আরও জানে ওই বটগাছটা নিয়ে নানারকম ভূতের কাহিনি প্রচলিত আছে। সেই সুযোগটাই কাজে লাগিয়েছে। যাতে মানুষ ‘ভূত আছে’ সেই ব্যাপারটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে।
আচ্ছা তা হলে আকরাম সাহেবের বাড়িতে ওই বটগাছটা কাটার পরিকল্পনা করা হয়েছে এটা কিভাবে জানলো ওই উধাও চক্র? খোকা বলল।
আমার সন্দেহটা ওই ব্যাপারটার পর থেকেই দানা বেঁধেছে। অপু বলল।
মানে? বললাম।
অপু একনাগারে বলতে থাকে– ব্যাপারটা খুবই সোজা। যে বা যারা ওদেরকে উধাও করেছে সে বা তারা এই এলাকায় এখন অবস্থান করছে। এবং নিয়মিত খোঁজখবর রাখছে এলাকার মানুষ এই উধাও হবার ঘটনা নিয়ে কি ভাবছে, কি করছে। এবং ভূতের ব্যাপারটা দৃঢ় করার জন্যই বটগাছের ব্যাপারটা টেনে এনেছে আবার। সেদিন থেকে পাগল লোকটাকে আমার কেন যেন উধাওকারীদের একজন সহযোগী বলে মনে হয়েছে।
আমাদের তিনজনের চোখ বিস্ময়ে ছানাবড়া হবার অবস্থা। অপুর চিন্তাভাবনা আমাকে সত্যিই অবাক করেছে।
শোন তা হলে কথা রইল ওইটাই পাগলটাকে কোনো অবস্থায় পাগল না ভেবে একজন সচেতন মানুষ ভেবে গতিবিধি খেয়াল রাখতে হবে আমাদের। অপু বলল।
হ্যাঁ, অবশ্যই। পল্টু বলল।
আর যদি আমাদের মিশন সাকসেস হয়েই যায়, তা হলে মনে কর আমার লেখার একটা প্লট পেয়েই গেলাম। একটা উপন্যাস লিখে ফেলব। অপু বলল।
কি নাম দিবি রে? খোকা বলল।
সেটা পরে ঠিক করা যাবে– আগে দোয়া কর যেন আমরা সাকসেস হতে পারি।
একটু সচেতন হতে হবে এই আর কি। বললাম।
আশা করি পারব। উই শ্যাল ওভার কাম-অপু বলল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *