Archives

এই যে বাবা, আজকে আবার কোথাও বের হওনি তাে?না।আমি কোণার সােফায় বসলাম। সেদিনের পত্রিকাটা হাতে নিয়ে চোখ বুলােতে লাগলাম। মনে

সেলিনা হোসেন মগ্ন চৈতন্যে শিস ছবি তো আমার কাছে নেই মিতুল কথা বললাে না। মনােযােগ দিয়ে আবার চিঠিটা পড়লাে। দু’বার

উপদেশ দিস না জামেরী। উপদেশ শুনতে আসিনি।কি করবি? বুলেটের বিনিময়ে ভালােবাসা চাই। ছন্দাকে আমার হতেই হবে। আমার একটা কথা শুনবি

কথাটা বলে আমার বুকটা যেমন ভরে উঠলাে, তেমনি মিতুলের মুখেও সুখী হাসি ছড়িয়ে রইলাে। ও আমার হাতটা গালে ঘসলাে। বালিশের

কাল সারারাত ঘুমােইনি জামেরী? এখন কাগজটা রাখ না। আমি হাসলাম চাঁদ আস্তে আস্তে পথে আসছে। এখন কথার তােড়ে ভাসিয়ে দেবে

অবশেষে আমার তৃতীয় উপন্যাসটা বেরুলাে। প্রকাশকের কাছ থেকে প্যাকেটটা এসেছে গতদিন। এখনাে খুলিনি। মিতুল এলে খুলবো। নইলে ও রাগারাগি করে।

এ সময় কে আসতে পারে?শব্দটা আজকে একদম অন্যরকম মনে হচ্ছে। মিতুল নয়তো? কিন্তু মিতুল তাে কখনাে এমন শব্দ করে না?

মিতুল প্রকৃতির মতাে খােলস বদলিয়ে নতুন হয়ে ওঠে। আর তাতেই আমার আনন্দ,আমার বিশ্বাস, আমার বেঁচে থাকা। আসলে মিতুল সেই আর

আমি ঘর বন্ধ করে বেরুলাম। আকাশ ফাঁকা। বৃষ্টি নেই। মেঘ নেই। ঝকঝকে রােদ লাফাতে লাফাতে এসে গায়ে সুড়সুড়ি দেয়। রাস্তায়

একদিন মিতুলও আমার দিকে এমন পিঠ দিয়ে ঘুমিয়েছিলাে। আঃ ক’দিন পর মিতুলের পিঠ, বুক, চোখ, নাক, চুল সব আমার দখলে