ঈদের কবিতা।। একটি খোয়াব ও আব্বার বয়ান।। এনাম আনন্দ

কয়দিন ধইরা
আব্বারে খালি খোয়াবে দেহি।
সুন্দর একটা ফুল বাগানে চেয়ার পাইত্তা
পূবালী বাতাস খায়,
ইশারায় কী কয়, ঠিক বুইঝা ওঠতে পারি না।
সাহস কইরা কাছে গেলাম, আব্বার মুখটা খুব গম্বির!
আব্বারে জিগাইলাম- আব্বা কেমন আছেন?
কোনো উত্তর নাই, ভয় পাইয়া গেলাম!
কতক্ষন পর আব্বা জিগায়- বাজান বাঁইচা আছোত?
আমি কইলাম- হ আব্বা, বাঁইচা আছি। বাঁইচা আছোত কেমনে?
তারা যা শুরু কইরা দিছে!
তোগোর তো বাঁইচা থাহার কথা না রে বাপ!
কিছুই কইলাম না। আমি চুপ কইরা রইলাম।
আব্বায় কয়, তুই কি লেহালকিরছ? হ আব্বা
আমি লেহালেহি করি। তুই কি আমার ফুত?
হ আব্বা- আমি আফনের ফুত! আব্বা রাগ কইরা একটা গালি দেয়।
যা বাঁইচা থাকতে কোনদিন দেয় নাই
খালি মিছা কথা লেহছ কেরে! হেছা কথা কি তোর কলম দিয়া আইয়ে না? নাকি নাম নিজেরে বেইচ্চা দিছোত?
আব্বার ধমক খাইয়া আমার ঘুম ভাইঙ্গা যায়। আব্বা কী বুঝাইতে চায়? আমি এহন কী করমু?
কী লেখমু…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *