স্বপ্নীল বড়ুয়া’র কবিতা

নিরাকরণ

প্রকৃতি সে অলংকৃত দ্বিধার নিরসন
মানবের ভঞ্জনে নিতান্তই অবধারণ
অবরুদ্ধ নিরর্থ ভ্রুকুটি আজ নিবারণ।

নিত্য নিয়তি সে মনুষ্যের খন্ডন
ললাটের লিপি যেন স্রষ্টার নির্ধারণ
মানবশিশু আবর্তন মাতার অবধারণ।

কুশল চিন্তনে ধরণী আজ মহাসুরমারণ
পতিহীন যুবতী তাই হয়েছে বররমণীরমণ
শ্যামগম্ভীর মলয়ানিল মাপে অন্যধন।

প্রয়াসিনীর অনির্ণেয়তা ক্ষুদ্রতামোচন
অবলীলায় নিরীন্দ্রিয় হয়েছে দূরীকরণ
নির্বাক পৃথিবীর অস্বীকৃত নিরাকরণ।

ছায়াবৃত্ত

আবেগ
সে তো নয় মানবীর নবযৌবন,
সে তো মানবের শোভনযৌবন।

বিরহ
সে তো নয় মানবীর তামরস,
সে তো মানবের ললিতবিলাস।

প্রেম
সে তো নয় মানবীর ছলনা,
সে তো মানবের দুরিতবিদারণ।

প্রণয়
সে তো নয় মানবীর ললনাশোভন,
সে তো মানবের কালিয়কুলদমন।

জনগল্প ৭১

চারিদিক শুধু এক নাম আতঙ্ক
এই বুঝি পড়লো লাশ
এই বুঝি রাঙিয়ে দেবে
বাংলার পথ-ঘাট।
এই বুঝি কোন শহীদ জননী
ছুটে এসে বলবে
পালাও, পালাও…
ওরা কাউকে ছাড়বেনা।
নরপিশাচ গুলো শুধুই গিলে নিতে পারে
তাজা তাজা প্রান।
নারীর সম্ভ্রম নিয়েছে কেড়ে
দামাল ছেলেরা থাকতে কি আর
হয়কি অপমান!
মাতৃভূমি সে যে দুর্দৈব গরীয়ান।

হিম

পৌষের রোদ্দুরে পাকা ধানের গন্ধে
মাতোয়ারা আজ নবীন, প্রবীন
আকাশও আজ মেলেছে ডানা
নবান্নের আয়োজনে।

রোদের সোনা ছড়িয়ে পড়ে
বধূর রাঙা আঁচলে,
স্নিগ্ধ শিশির ধানের শিষে
বাঁধন খুলে অকারনে।

শিশুরা আজ কান পেতেছে
মাটির ধরাতলে,
নতুন ধানের পিঠা হবে
কুড়ানো ঐ ফসলে।

One thought on “স্বপ্নীল বড়ুয়া’র কবিতা

  • এপ্রিল ২৯, ২০২২ at ১১:২১ পূর্বাহ্ণ
    Permalink

    Thank you very much @kabyashilan

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *