খান মুহাম্মদ রুমেল-এর কবিতায়

স্রোতস্বিনী

একরাশ মেঘ বুকে নিয়ে
আকাশটা অভিমানী হয়ে আছে
তুমি আর কেন অভিমান জমাও?

জমাট শিলা নয়, নদী হও স্রোতস্বিনী।
তোমার দুয়ার বন্ধ হলে কোথায় যাবো বলো
ঝড় জল বাদল দিনে?

তোমাতে হৃদয় জমা দিয়ে
আমি বেঁচে থাকি মেয়ে, অপেক্ষার দিনে।

অভিমান করো না, হৃদয় জাগাও
বাঁচিয়ে রাখো কবিকে ভালোবাসার ভ্যাক্সিনে।

জীবনও নগরের মতো

কেটে গেলো আরো একটি দিন
রোদে মেঘে, আলো ছায়া লুকোচুরি।
থমকে দাঁড়ায় চঞ্চল নাগরিকতা কখনো
চার দেয়ালে বড় মায়া নিয়ে, স্বপ্নালু
বয়ে চলে গতির স্রোত কখনো কখনো
বিপরীত ধারায় বয়ে বয়ে চলা নগর
আসলে কি জীবনের প্রতিচ্ছবি?

জীবনও আদতে একটি নগর চলমান
বয়ে বয়ে চলে, কেটে কেটে যায়!

স্মৃতি কিছু জমা হয়, স্মৃতির ভাঁড়ারে!
কেউ ধরে রাখে সেসব গোপন কোঠরে!
আদতে সবই বয়ে যায়, সবই চলে যায়!

এলোকেশী মেঘ

বৃষ্টি হোক এই শহরে, তুমুল
আচ্ছা রকম ভিজুক
অট্টালিকাগুলো সব, দাঁড়িয়ে থাকা উজবুক!

ভেসে যাওয়া শহরে নামবো দুজন
জলে ভেজা রাস্তাগুলো হলে নির্জন!
অধিকারহীন যাত্রায় স্বপ্ন ছোঁবো
অপলক পিপাসায় রাঙিয়ে দেবো।

লুকোচুরি মায়ায় ভাসাবো ভেলা
দিন রাত, সন্ধ্যা দুপুর সারাবেলা।
এসো মেয়ে এলোকেশী মেঘ হয়ে
এসেছিলে যেমন, রোদের পথ বেয়ে!

আমি জানতাম না

ভালোবাসার রঙিণ গলি
আমি চিনতাম না-
যেখানে চুইয়ে পড়ে রং!
অনুভূতির তীব্র প্রকাশ
আমি জানতাম না-
যেখানে জমা থাকে আলো!

কেউ আমাকে বলে নি কখনো
রাত আঁধারে জ্বলে ওঠা আলেয়ার রহস্য
এসবের জন্য বেদনাও ছিলো না আমার!
কল্পিত সুখে ভালো ছিলো সব
এখন কেবল হাহাকার জাগে
যেই থেকে বেদনা জানতে শিখেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *