কবিতা।। গিরীশ গৈরিক।। ফেব্রুয়ারি কবিতা উৎসব সংখ্যা

চোখ

মনেপোজ নারীর মতো যৌনবেদনা নিয়ে ঘুম ভাঙলো

পৃথিবীতে আজ শীতের সকাল-ঋতুস্রাবহীন মেঘ আকাশে আকাশে─

এমনই এক শীতের সকালে কথা হয়েছিল

যিনি পৃথিবীতে প্রথম খেজুর রসের আবিষ্কার করেছিল

তার সাথে।

সে আমায় বলছিল─ তার প্রিয়তমার চোখের জল দেখে

তার ভাবনায় আসে বৃক্ষের কান্নার কথা।

তাই সে খেজুর গাছের মাথায় তার প্রিয়তমার চোখ এঁকে দিয়েছিল

আর সেই চোখ থেকে নেমে এলো বেদনার জল।

আমরা সেই বেদনার জলে মধুর আনন্দে সিক্ত হই।

প্রেম

জীবনরে বীজক্ষেতে দাঁড়িয়ে এক বোবা

আরকে বধিরকে বলছে-

তুই যে আমার কথা শুনতে পারসি না

কারণ বাতাস অন্ধ।

উত্তরে বধির বললো─

তুই যে কথা বলতে পারসি না

কারণ বাতাস পঙ্গু।

তারপর তাদের কথোপকথন তিলে তিলে তিলোত্তমা হলো।

রঙের মেলা

একটি বাগানে চারটি গোলাপ আছে─

লাল, নীল, হলুদ ও কালো।

একদিন লাল গোলাপটি─

কালো গোলাপকে নোংরা বলে গালি দিলো

সেই গালির পক্ষে সর্মথন দিলো-নীল ও হলুদ গোলাপ।

এভাবে লাল, নীল ও হলুদ গোলাপের গভীর বন্ধুত্ব হলো।

এই বন্ধুত্ব থকেইে লাল, নীল ও হলুদ গোলাপগুচ্ছের

রং হয়ে গেলো কালো।

এখন আমার বাগানে শুধুই কালো গোলাপ

এখন আমি পবিত্র কবিতা লিখি।

ঋষঋিণ

চোখ বুঁজলইে শ্মশান দখেতে পাই–

শ্মশানে বরফ জমে আছে!

কোথাও আগুন পাচ্ছি না, একটা বিড়ি ধরাবো।

আচ্ছা। আপনার খুঁতি থেকে একফোটা আগুন ধার দেবেন?

এই দেখেন─ আমার বিড়ির ব্রান্ডের নাম পৃথিবী

পৃথিবীকে পোড়াবো, আমার হৃদয় পৃথিবীকে পোড়াবো!

রবিবাবু─ একফোটা আগুন ধার দেবেনে?

আমাদরে জীবনরে ধারাপাত জ্বালাবো…

পরর্চচা

শানঘরে আমার মাথা জমা দিয়ে এসেছি

তীক্ষ্ণ ধার হলে ফরেত নিয়ে আসবো বলে।

একদনি, শানঘরে মাথা ফেরত নিতে গিয়ে জানতে পারি

আমার মাথা চুরি হয়ে গেছে

যেভাবে মসজদির জুতা চুরি হয়।

তারপর শানকারীর কাছে মাথা ফেরত চাইলাম

বিনিময়ে সে আমাকে শানঘরে জমে থাকা–

অন্য মানুষরে মাথা নিতে বললো।

আমি রবীন্দ্রনাথরে মাথা নিয়ে এলাম

এবং বাড়ি ফরিবার পথে নেতাজির একটি টুপি কনিলাম।

এখন আমার রাবীন্দ্রি মাথায় নেতাজির টুপি

এখন আমার কথা ও কবতিা গিরীশ গৈরিকরে নয়।

পুনশ্চ: বাসরঘরে স্বামী-স্ত্রী ব্যততি অন্যকারোর উপস্থিতি দুঃখজনক।

অকারণে হঠাৎ

একগ্লাস জলরে মাঝে একগ্লাস পানি মিশে

অশ্রু হয়ে গলেো।

কী জানি─ কী কারণে

একগ্লাস জল ও একগ্লাস পানরি মাঝে সোমরস মিশে

আনন্দ হয়ে গলেো।

একদনি অকস্মাৎ

একগ্লাস জল, একগ্লাস পানি ও একগ্লাস সোমরসরে মাঝে পট্রেোল মশিে

আগুন হয়ে গলেো।

তারপর পৃথিবীবর সমস্ত দবোলয় চারবাক র্দশনকে প্রশ্নবদ্ধি করলো!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *