কবিতা।। মাহফুজুর রহমান সৌরভ।। ফেব্রুয়ারি উৎসব কবিতা সংখ্যা
দীর্ঘ হাতের প্রয়োজন
তোমার নগ্ন শরীর স্পর্শ করতে দীর্ঘ হাতের প্রয়োজন
অথচ শিশির কান্নায় ফুরোলো অর্ধেক যৌবন।
আর আমি টালমাটাল হয়ে ব্যার্থ নিয়তির বিরোধিতা করি,
জ্যোৎস্নার সাথে আমিও এসেছিলাম সেদিন
লুকিয়ে ছিলাম অভিমানী ফুলের প্রথম অক্ষর হয়ে
তোমার দেহের সমস্ত লজ্জা জ্যোৎস্নাকে দিলে ঢেলে
আমি বারবার ছুঁতেে গিয়ে স্পর্শ করতে পারিনি
আহত মন দেখে তুমি বস্ত্রহীন বুকে তুলে নিলে
তোমার একমুঠো ভেষজ খেয়ে
এখন আমি রত্ন সুপুরুষ।
উপসংহার
জোনাক জ্বলা রাতে মধুময়ী নগ্ন চাঁদ
পৃথিবী মৈথুনে জল ভাঙে
জোনাক কি তার উত্তরসূরী খোঁজে?
কবি মৃত্তিকা গর্বে চুম্বন রাখে
বিস্ময় জোনাক কাব্য
মৌনকৃষ্ণ খুনসুটি করে
এ রাতে নক্ষত্র আকুতি –
গুটি আলো ছড়িয়ে পড়ুক
পৃথিবীর উপসংহারে।
একখণ্ড আপেল পৃথিবী
জলের ডানায় চড়েছি বহুক্ষণ সর্বাঙ্গে
অক্ষর বোনা সূর্যস্নানে
প্রাণের প্রেয়সী তোমার অন্তবাসে বেরিয়ে আসে
একখণ্ড আপেল পৃথিবী
আহরণে মৃদুকম্পন স্তনের বোটায় চাঁদ জেগে থাকে
মাতাল জলতরঙ্গ
লুকিয়ে থাকা কোকিলের কুহু তোমারই কন্ঠ।
উপমা
মহুয়া বসন্তে বৈতালী বাতাস
মেদিনীপুরের অচেনা মাঠে ঘটে
কংসাবতী যুবতীর চুলের বিনুনিতে
অগোছালো স্পর্শে স্তনের মৃদু কম্পন
লজ্জাবতী সেও সুখের স্বাদ নেয়
যবতি শরীর বুঝে
বসন্তের আঙিনায় শ্রেষ্ঠ উপমা হয়ে
মিহির ভাঁজ হয়ে থাকে।