প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের জন্মদিনে কাব্যশীলনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। লিখেছেন কবি ফারুক সুমন

“হুমায়ুন আজাদের ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’, শ্লীল অশ্লীল বিতর্ক”
ফারুক সুমন

বই-আলোচনা:
প্রয়াত লেখক হুমায়ুন আজাদের জন্মদিন আজ। বিশেষ দিনে বিতর্কিত উপন্যাস “সবকিছু ভেঙে পড়ে” নিয়ে লেখাটি পড়তে পারেন।

অশ্লীলতার অভিযোগে এ যাবত্ নামকরা অনেক শিল্পকর্মই বিতর্কিত হয়েছে। মূলত এই বিভেদ ব্যক্তির পাঠপ্রস্তুতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে শিল্প একজনের কাছে অশ্লীল কিংবা প্রাপ্তমনস্কদের সাহিত্য হিসেবে বিবেচিত, ঠিক অন্য কারো কাছে সেটা অশ্লীলতার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে নিষিদ্ধ হওয়ার দৃষ্টান্তও কম নেই। ডি এইচ লরেন্সের ‘লেডি চ্যাটার্লিজ লাভার’ উপন্যাসটি ১৯২৯ সালে ব্রিটেনের আদালতের নির্দেশে ত্রিশ বছরের অধিককাল নিষিদ্ধ ছিল। অশ্লীলতার অভিযোগ এনে বইয়ের কপি পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। অথচ উত্তরকালে এই গ্রন্থ বেশ সমাদৃত হয়েছে। বাংলা সাহিত্যে কালিদাসের ‘মেঘদূত’, রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্রাঙ্গদা’, তারাশঙ্করের ‘কবি’, বুদ্ধদেব বসুর ‘রাত ভরে বৃষ্টি’, সৈয়দ শামসুল হকের ‘খেলারাম খেলে যা’, ‘জলেশ্বরী গল্প’, হুমায়ূন আহমেদের ‘নন্দিত নরকে’, সৈয়দ আলী আহসানের ‘জিন্দাবাহারের গলি’-সহ অসংখ্য গ্রন্থের দৃষ্টান্ত দেওয়া যাবে—যেখানে যৌনতার খোলামেলা বর্ণনা পাওয়া যায়।

শিল্প তো মানব জীবনের উত্তম রূপায়ণ। যদি তা-ই হয়, তবে মানব-মানবীর যৌনজীবন শিল্প-সাহিত্যে উপেক্ষিত হতে পারে কি? নিঃসন্দেহে পারে না। শুদ্ধতাবাদী শিল্প-তাত্ত্বিকেরা হয়তো বলবেন, যৌনতার প্রকাশ শিল্পে শৈল্পিক হওয়াই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু সাহিত্যে যাঁরা বাস্তব জীবনের রূঢ় সত্যকে উপস্থাপনে উত্সাহী, যাঁরা মানব জীবনের অনালোকিত অধ্যায়কে কোনোরকম ভণিতা ছাড়া শিল্পরূপ দিতে চান, তাঁদের সঙ্গে শুদ্ধতাবাদী শিল্পপ্রেমিদের মতবিরোধ থাকা অস্বাভাবিক নয়। এই যেমন শ্রী নীরদচন্দ্র চৌধুরী ‘সাহিত্যে শ্লীল-অশ্লীল সম্বন্ধে আলোচনা’ (শনিবারের চিঠি, ১৩৩৪, চৈত্র; ইং ১৯২৮ সন) শীর্ষক এক লেখায় মন্তব্য করেছেন—‘বাস্তব জীবনে আমরা যাহা কিছু দেখি, তাহার ফটোগ্রাফ যেমন চিত্রকলা নয়, বাস্তব জীবনে আমরা যাহা কিছু দেখি, যাহা কিছু শুনি, যাহা কিছু প্রত্যেক্ষ করি, তাহার বর্ণনাও তেমনি সাহিত্য নয়।’ উক্ত প্রবন্ধে তিনি যে মত দিয়েছেন তার সারকথা সংক্ষেপে এরকম—

‘অশ্লীলতা করাটা দোষের কিছু না, কিন্তু সেটা লেখায় উপস্থাপন করতে একজন লেখক কতটা পারঙ্গম সেটাই বিবেচনার বিষয়। বাস্তবে যা ঘটে সেটার হুবহু রগরগে বর্ণনা দেওয়াই আর্ট নয়।’

কিন্তু তথ্যপ্রযুক্তির এই বিস্তারের যুগে যখন নারীপুরুষের অনেক অন্তরঙ্গতাই ইন্টারনেটে উন্মোচিত। তখন এই সময়ে এসে তাঁর বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা কতটুকু? এটা নিয়ে নিশ্চয়ই ভাববার অবকাশ রয়েছে। প্রাচীনকাল থেকে অদ্যাবধি ‘শ্লীল ও অশ্লীল’ প্রশ্নে বিভিন্ন ভাষায় বহু সাহিত্যকর্ম সমালোচকের অভিযোগবাণে বিদ্ধ হয়েছে। সংস্কৃত কবি-সাহিত্যিকেরা নর-নারীর কামবৃত্তিকে ক্ষুধা-তৃষ্ণার মতোই স্বাভাবিক বলে মনে করতেন। বস্তুত জীবন ও জগেক যাঁরা সাহিত্যের ক্যানভাসে আঁকতে চান, জীবনের বহুবর্ণিল রূপ, জীবনের সকল পর্যায়কে যাঁরা শিল্প-সাহিত্যের বিস্তৃত অবয়বে চিত্রিত করতে চান তাঁরা এ যুক্তি মানতে নারাজ যে, আমাদের জীবনের যে দিকগুলো স্পর্শকাতর ও রহস্যময়, সেগুলো সৌজন্য হেতু কিংবা নৈতিকতার প্রশ্নে গোপন থাকুক। তাঁরা ভালো-মন্দ নামক মুদ্রার উভয়পিঠ খতিয়ে দেখতে কৌতূহলী।

২. প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের বহুল আলোচিত উপন্যাস ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ (১৯৯৫) সম্পর্কে পাঠাভিজ্ঞতা লিখতে গিয়ে উপর্যুক্ত ভূমিকার অবতারণা। সমকালে ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসটি অশ্লীলতার অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। মূলত যৌনতাকে ঘিরে মানুষের মানসিক স্তরের যে বিবর্তন; তার জাজ্বল্যমান কাহিনি সংগ্রথন ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’। এই উপন্যাসে লেখক সমাজ-সংসারে প্রচলিত যাবতীয় নীতিগত সম্পর্কের মূলে কুঠারাঘাত করেছেন। কিভাবে মা-বাবা, খালা-খালু, গৃহকর্তা, কাজের মেয়ে, বৃদ্ধ-বালক কিংবা বন্ধু-বান্ধবীদের অনৈতিক যৌনাচারে মানুষের পারস্পরিক নীতি-নৈতিকতার ব্রিজ ভেঙে তছনছ হয়ে যায়; লেখক অসংখ্য চরিত্রের সম্মিলন ঘটিয়ে তার বাস্তবতা দেখানোর প্রয়াস পেয়েছেন।

উপন্যাসের শুরুতেই তিনি মানুষের মধ্যে বিদ্যমান সকল সম্পর্ক সংগঠনকে একটি নির্মিতিপ্রাপ্ত ব্রিজ-রূপে কল্পনা করেছেন। লেখকের ভাষায়—

‘ব্রিজ একটি কাঠামো; সবকিছু আমার কাছে কাঠামো; বিশতলা টাওয়ার, জানালার গ্রিলের বৃষ্টির ফোঁটা, রাষ্ট্র, শিশিরবিন্দু, সভ্যতা, বুড়িগঙ্গার ব্রিজ,সমাজ, সংস্কার, বিবাহ, পনের বছরের বালিকা, তার বুক, দুপুরের গোলাপ, দীর্ঘশ্বাস, ধর্ম, আর একটির পর একটি মানুষ, পুরুষ, নারী, তরুণী, যুবকের সাথে আমার সম্পর্ক, অন্যদের সম্পর্ক, সবকিছুই আমার কাছে কাঠামো, কাঠামোর কাজ ভার বওয়া; যতদিন ভার বইতে পারে, ততদিন তা টিকে থাকে; ভার বইতে না পারলে ভেঙে পড়ে।’

পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত এই ব্রিজকে লেখক অখণ্ড সত্তা রূপে ভেবেছেন। মানুষের আত্মিক সম্পর্কের বাইরেও কেবল যৌন চাহিদার প্রলোভনে প্রতি মুহূর্তেই তৈরি হয় ব্রিজ, আবার ভেঙেও যায়। উপন্যাসের আদ্যোপান্ত লেখক এই সত্যকে উন্মোচন করতে গিয়ে আমাদের এই তৃতীয় বিশ্বের অন্তর্গত দেশে, বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রেম, কাম, বিয়ে-সহ অনন্ত নিঃসঙ্গতার খোলামেলা বর্ণনা দিয়েছেন।

আমাদের অতিপরিচিত জীবনাভিজ্ঞতার ছাঁচে ফেলে আমরা তা পরখ করতে পারি। নারী-পুরুষ সম্পর্কিত এই ব্রিজকে খোলাসা করতে গিয়ে তিনি যে ভাষাচাতুর্যের আশ্রয় নিয়েছেন তা আমাদের চোখে অশ্লীল কুরুচিপূর্ণ ঠেকে। চরিত্রে স্খলনের কথা ভেবে আমরা আঁতকে উঠি। আদতে যৌনতাকেন্দ্রিক অবচেতনগত মনোজগতের অবস্থা প্রকাশে এমন ভাষাই দরকার ছিল। এ কারণে উপন্যাসটি অশ্লীলতার দায়ে অভিযুক্ত হতে পারে না। উপন্যাসের বিষয়বস্তুকে প্রাণ দিতে গেলে এমন ভাষাভঙ্গি বেছে নেওয়া দোষের কিছু নয়। ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসে লেখক মূল কাহিনির পাশাপাশি অসংখ্য উপকাহিনির ডালপালা বিস্তার করেছেন। একজন বালক কিভাবে রাতের অন্ধকারে বয়োবৃদ্ধ ধর্মপরায়ণ কর্তৃক স্টিমারের ডেকে বলাত্কারের খপ্পরে পড়ে। কিভাবে মাছ ও দুধ বিক্রেতার মেয়ে কিশোরী আম্বিয়াকে গ্রামের যুবক ছেলের দল কোলে করে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছেতাই করে ছেড়ে দেয়। নির্যাতনের শিকার আম্বিয়া যখন ফিরে এসে খলখল করে হাসে আর সমবয়সী মাহবুবকে বলে, ‘তুই আইলিনা ক্যান, তোর ইচ্ছা অয় না?’ তখন আমরা ভুলে যাই উপন্যাসের নগ্নতা বা অশ্লীলতা কী? বরং আমাদের চৈতন্য তখন ক্রমাগত মাথাকুটে মরে দেয়ালে।

খুব ভোরে মোল্লা বাড়ির ঘাটে নতুন বউকে গোসল করতে দেখে কিশোর মাহবুবের মনে প্রশ্নের উন্মেষ ঘটে। কনকনে এই শীতে যখন ‘জলের উপর ধোঁয়ার মত কুয়াশা উড়ে’ তখন নিয়মিত স্নান তাকে ভাবিত করে। চিরাচরিত এই প্রাতঃকালীন স্নান কেন? এই জিজ্ঞাসার উত্তর পেতে কাদার মতো নরম কিশোরের অনুসন্ধিত্সু মন অহর্নিশ ছটফট করে। একদিন সুযোগ পেয়ে বউয়ের কাছে সে জানতে চায়—‘আপনি এতো ভোরে গোসল করেন কেন?’ মোল্লা বাড়ির বউ হাসতে হাসতে উত্তর দেয়, ‘তোমার বউও ভোরে গোসল করবে।’ নববধূর এই উত্তরে বালক মাহবুবের মন তুষ্ট হয় না। একসময় সে বালকের মনে ঝিলিক দিয়ে ওঠে অত্যাশ্চর্য ভাবনা। সে আবিষ্কার করে বউটির সঙ্গে তার স্বামীর একটি ব্রিজ আছে। ব্রিজের নমুনা হচ্ছে বিয়ে। কেবল বিয়ে নামক প্রচলিত বিয়ের কারণে এখন তারা এক ঘরে ঘুমায়। বালক বুঝতে পারে যে, পৃথিবীতে নারী-পুরুষের মাঝে বিরাজ করে এক বিস্ময়কর অদৃশ্য ব্রিজ; যা রহস্যময়, সংশয়পূর্ণ, অন্তর্গত, অদৃশ্য এবং তীক্ষ ব্লেডের মতোই ধারালো। মূলত মানুষের বাহ্যিক অবয়বের সম্পর্ক এই সমাজ সভ্যতার ঝুলিয়ে দেওয়া এক অলৌকিক পর্দামাত্র। এই পর্দা কেবল বাইরের ইশারায় আন্দোলিত হয়। যেখানে ছায়া ফেলে না শারীরবৃত্তীয় অজস্র কার্যক্রম। যেখানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শরীরের দুর্নিবার আকর্ষণ। যৌন সম্পর্কের মঞ্চে মানব-মানবী ভুলে যায় নীতি-নৈতিকতার কথা।

শরীর নামক সাপের ছোবলে পড়ে বাইরের টানানো পর্দা কিভাবে নিমেষে খুলে পড়ে, কিভাবে অন্ধকারে মানুষের শরীর অভিন্ন আকাশ কামনা করে, যে আকাশে কেবলই শরীর সম্পর্কের ছায়াবাজি। উপন্যাসের চরিত্র এবং কথোপকথনে হুমায়ুন আজাদ এই রূঢ়বাস্তবতার স্বরূপ উন্মোচনে সচেষ্ট ছিলেন। যেমন : ‘ছোট খালা বেড়াতে এলে আমাদের খুশির শেষ থাকতো না। এবং বাবাকেও খুব খুশি দেখাতো। সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন বাবা, যদিও তা দেখা যেতো না কিন্তু আমি দেখতে পেতাম; ছোট খালার নাম ধরে বাবা ডাকতেন, একটা সুর ঝরে পড়তো বাবার গলা থেকে; ছোট খালা পাখির মতো উড়ে গিয়ে উপস্থিত হতো, কখনো পান নিয়ে কখনো তামাক নিয়ে।’

বাবা আর ছোট খালার মধ্যে এই প্রাণবন্ত এবং উচ্ছ্বাসে টইটুম্বুর ভাব বিনিময়ের ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে সম্পর্কের ব্রিজ। যা দেখা যায় না। কেবল অনুভবের গভীর স্তরে নেমে গেলে অনুভব করা যায়। শুধু তা-ই নয়, পাশের বাড়ির রফিকের বাপ যখন যে কোনো অজুহাতে নিজের স্ত্রী’কে প্রহার করে এ বাড়িতে এসে মা’কে ‘ভাবিছাব’ বলে মধুর সুরে ডাকে। তখন বালক মাহবুবের কাছে নির্মিত ব্রিজটি ক্রমশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। কোথায় ব্রিজটি সৃষ্টি হচ্ছে, আর কোথায় ধসে পড়ছে। এভাবে উপন্যাসের নায়ক তার চারপাশে ঘটতে দেখে অগণিত অবনতি; যা ঝকমকা মোড়কের ভেতর নষ্ট ও মন্দ পণ্যের মতোই।

পনের বছর বয়স পর্যন্ত এই সমস্ত ব্রিজের নমুনা দেখে দেখে অভ্যস্ত বালক মাহবুব। এখন সে নিজেও ব্রিজ নির্মাণ করার প্রত্যাশা রাখে। কারণ পারিপার্শ্বিক অবস্থা এবং শরীরের সহজাত চিত্কার ক্রমশ তাকে টেনে নিয়ে যায় পরিচিত সেইসব বাঁকে, সেইসব বুড়িগঙ্গার মতো ব্রিজের কাছে। এখানে এসে ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসের ঘটনা নতুন দিকে বাঁক নেয়। বালক থেকে ক্রমশ পরিণত হয়ে ওঠা মাহবুব সমস্ত কর্মকাণ্ডের হোতা হয়ে দাঁড়ায়। নারকেল গাছ কিংবা কলাগাছ জড়িয়ে সাঁতার কাটার সময় টের পায় ব্রিজ নির্মাণের প্রেরণা। পাশের বাড়ির রৌশনের সঙ্গে যার প্রথম আঙুলে আঙুলে খেলা চলে, কেরাম খেলতে গিয়ে আঙুলে কিঞ্চিত্ স্পর্শে যার পুলকের শেষ নাই। এভাবেই বয়সের নানা পর্যায়ে যৌনতা কেন্দ্রিক সম্পর্কের ব্রিজ অব্যাহত থাকে।

‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসের বিতর্ক মূলত ভণিতাহীন ভাষার বাস্তব প্রয়োগ এবং মানবজীবনের অনালোকিত ঘটনার অবতারণাকেন্দ্রিক। হুমায়ুন আজাদ মানব মনের দুর্জ্ঞেয় অঞ্চলে প্রবেশ করতে চেয়েছেন। যৌনতা মানুষকে ভুলিয়ে দেয় অনেক কিছু। লোকচক্ষু কিংবা সামাজিকতার অন্তরালে যৌনতা শক্তিশালী গোপন নিয়ন্ত্রণ। যাকে আমরা ধর্মীয় অনুভূতিতে মহত্ ও শুভত্বের প্রতীক কল্পনা করি, সেখানে নড়বড়ে হয়ে আছে। আমরা, আমাদের সমাজ তা অস্বীকার করি। অথবা না দেখার ভান করি। হুমায়ুন আজাদ মূলত এই ভান, এই আড়ালের ভণিতাকে অস্বীকার করে তার মূলে আঘাত হেনেছেন। ‘সবকিছু ভেঙে পড়ে’ উপন্যাসে সমস্ত জড়তা, গোপনীয়তাকে টান মেরে ছিঁড়ে ফেলেছেন। যা সত্য, তা প্রকাশে তিনি কুণ্ঠাবোধ করেননি।

২ thoughts on “প্রথাবিরোধী লেখক হুমায়ুন আজাদের জন্মদিনে কাব্যশীলনের শ্রদ্ধাঞ্জলি। লিখেছেন কবি ফারুক সুমন

  • নভেম্বর ২০, ২০২০ at ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ
    Permalink

    খুব ভালো লেগেছে ।

    Reply
  • নভেম্বর ২০, ২০২০ at ১২:৩৩ অপরাহ্ণ
    Permalink

    আলোচনাটি দারুণ লাগলো। ধন্যবাদ লেখক এবং সম্পাদক মহোদয়কে।

    Reply

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *